ছেলের পাকা ঘরে ঠাঁই হয়নি বৃদ্ধ পিতার নির্মম কষ্টে দিন
ছেলে শংকর ভদ্র একজন কাঠ ব্যবসায়ী। স্ত্রী মিতা ভদ্রকে নিয়ে থাকেন পাকা ঘরে। অথচ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ পিতাকে ফেলে রেখেছেন
বাইরের একটি মাচার ওপর। এমনই এক মানবেতর জীবন নিয়ে ছেঁড়া কাপড় জড়িয়ে কোনরকম বেঁচে আছেন যশোরের অভয়নগর উপজেলার মধ্যপুর গ্রামের মিস্ত্রি পাড়ার বৃদ্ধ নারায়ণ ভদ্র (৬৫)। এক সময় যে পিতা তার ছেলেকে কোলে পিঠে নিয়ে বড় করেছিলেন, আজ তিনি নিজেই উপেক্ষিত। সেই সন্তান বড় হয়ে স্ত্রীকে নিয়ে পাকা ঘরে সাজানো বিছানায় ঘুমালেও বৃদ্ধ পিতাকে থাকতে হয় একটি মাত্র টিনের নিচে ভাঙ্গা মাচার ওপর। যেখানে নেই কোন মশারি বা বিছানা।
সরেজমিনে মিস্ত্রি পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, বৃদ্ধ নারায়ণ ভদ্র ভাঙা একটি খাটের ওপর প্রায় বস্ত্রহীন অবস্থায় পড়ে আছেন। বিছানার আশপাশ দুর্গন্ধ ও কাদামাটিযুক্ত। বিছানায় নেই কোনো চাদর, ভাঙা কাঠের খাটে শুয়ে আছেন। উপরে একটি মাত্র টিনের চাল। তিন পাশ খোলা।বৃদ্ধের ছেলেন বৌ মিতা ভদ্র বলেন, শ্বশুর দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ। শ্বশুরের মস্তিস্কে সমস্যা দেখা দেওয়ার পর থেকে সার্বক্ষণিক ওষুধ ও দেখভাল করেন তিনি।
কত দিন ধরে ঘরের বাইরে রাখা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ২০ দিন হয় বাবাকে ঘরের বাইরে রাখা হয়েছে। এর আগে বাড়ির মধ্যেই থাকতেন তিনি। খাট ভেঙর যাওয়ার পর থেকে বাইরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। তাছাড়া ওনাকে ঘরের মধ্যে রাখা যায় না, মাথায় সমস্যার কারণে সবকিছু ওলট-পালট করেন।
চিকিৎসার বিষয় জানতে চাইলে বলেন, স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসককে দেখানো হয়। সরকারি হাসপাতালে এমবিবিএস ডাক্তার থাকতে পল্লী চিকিৎসক দেখানোর বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, মাথায় সমস্যা ঠিকমত কাপড় পরেন না। কোন ভাবেই ডাক্তারের কাছে নেওয়া যায় না।
মুঠোফোনে কথা হয় বৃদ্ধ নারায়ণ ভদ্রের ছেলে শংকর ভদ্রের সাথে, তিনি অনুনয় বিনয় করে সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানান। পিতাকে এমন অবহেলা-অযত্নে ঘরের বাইরে ফেলে রাখার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে এখন থেকে পিতার প্রতি যত্নবান হবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
প্রতিবেশীরা জানায়, প্রায় ১ মাস হয় এভাবে ঘরের বাইরে ফেলে রাখা হয়েছে বৃদ্ধ মানুষটিকে। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে একটি মাত্র টিনের নিচে পড়ে থাকেন তিনি। নারায়ণ ভদ্রের স্ত্রী প্রায় ১০ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ছেলে ও বৌমার সাথে থাকলেও অযত্ন-অবহেলায় ধীরে ধীরে মস্তিস্কে সমস্যা শুরু হয় তার। বর্তমানে কাউকে মনে রাখতে পারেন না। এ মানুষটির সুচিকিৎসা হলে সুস্থ্ হয়ে উঠতেন এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিবেশীরা।
newsbanglabd.net
ভারতের গুজরাটে আইন করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো আযান!
আর পড়ুন
১২ জনের বেশি মুসল্লি নিয়ে নামাজ পড়ায় ইমামের উপর হামলা
গতকাল (বুধবার) দিবাগত রাতে (২৯/০৪/২০২০) কিশোরগঞ্জ জেলা সদর উপজেলার যশোদল বড়ইতলা গ্রামের শহীদ নগর জামে মসজিদের ইমাম ১২ জনের অধিক মুসল্লি নিয়ে তারাবিহের নামাজ পড়াতে অপারগতা প্রকাশ করায় ইমাম সহ ৫ জন সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার।
কিভাবে বিদায় নিবে আমাদের দেশ থেকে করোনা নামক মহামারীর আজাব?
আমাদের কপাল ভাল। আল্লাহ তাআলা দয়া করে আমাদেরকে সামান্য আজাবের সম্মুখীন করেছেন আমরা তো এর চেয়ে আরো ভয়াবহ আজাব এর উপযুক্ত।
একদিকে ১২ জনের অধিক মুসল্লি নিয়ে তারাবিহের নামাজ পড়লে প্রশাসনের কাছে জবাবদিহিতা মূলক আইনের সম্মুখীন হতে হয়।
অপরদিকে ১২ জনের অধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ না পরার কারনে নিরীহ ইমাম-মুয়াজ্জিনগণ সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হতে হয়। মনে রাখবেন যে দেশে নিরীহ মানুষদের ওপর জুলুম অত্যাচার করা হয় সে দেশের মানুষদের সুখ-শান্তি এর চেয়ে বেশি আশা করা যায় না।
দেশের জনপ্রতিনিধিদেরকে বলবো
আপনারা হয়তো মসজিদ উন্মুক্ত করুন না হয় এই সমস্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
অন্যথায় মনে রাখবেন এর চেয়ে আর ভয়াবহ বিপদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
Collected :- Facebook