ঘাতক সেই পারভেজের জবানবন্দিতে কেঁদল পুলিশ

গাজীপুরের শ্রীপুরে মোবাইল ফোন চুরি করতে গিয়ে চিনে ফেলায় ইন্দোনেশীয় নারী ও তাঁর তিন সন্তানকে গ’লা কেটে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ঘাতক পারভেজ (১৭)।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পারভেজকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন  গাজীপুর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় পু’লি’শ।

পিবিআই’র পরিদর্শক হাফিজুর রহমান জানান, সোমবার বিকেলে পারভেজ গাজীপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজি’স্ট্রেট আ’দা’লতের বিচারক শরীফুল ইস’লামের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানব’ন্দি দিয়েছেন।

তাকে সিনিয়র জুডিয়াল ম্যজিস্ট্রেট শরিফুল ইস’লাম-এর আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগরে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে কা’রাগা’রে পাঠানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই পিবিআইর গাজীপুর জেলা ইউনিটের ইনচার্জ অ’তিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসির আহমেদ শিকদার জানান, শ্রীপুরের আবদার গ্রামে মালয়েশিয়া প্রবাসী রেজোয়ান হোসেন কাজলের স্ত্রী’ ও তিন সন্তান খু’ন হওয়ার ঘটনায় গাজীপুর পিবিআই ছায়া ত’দ’ন্ত শুরু করে।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রের ভিত্তিতে গত রোববার (২৬ এপ্রিল) হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থল সংলগ্ন বসবাসকারী পারভেজকে (১৭) গ্রে’প্তা’র করা হয়।

পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ পারভেজ জানায়, ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২ সময় কাজলের স্ত্রী’ ও বড় মে’য়ের টাচ মোবাইল চু’রির উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী বাবুলের বাড়ির পিছন দিক দিয়ে কাজলের বাড়ির দেয়ালে বের হয়ে থাকা ইট বেয়ে ছাদে ওঠে সে।

নিজের কাছে থাকা ব্লেড দিয়ে ছাদে কাপড় শুকানোর রশি কে’টে ছাদের গ্রিলের সাথে বেঁধে রশি বেয়ে দোতলার বাথরুমের ফাঁকা জায়গা দিয়ে বাসার ভেতরে ঢোকে। ওয়াশিং মেশিনের উপর পা দিয়ে নিচে নেমে নুরা ও হাওয়ারিনের রুমে প্রবেশ করে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে।

নুরার তখন কানে হেডফোন ছিল ও ছোট বোন হাওয়ারিন ঘুমিয়ে ছিল। আনুমানিক এক ঘণ্টা পর সবাই ঘুমিয়ে গেলে নিচ তলায় নেমে রান্না ঘর থেকে ধা’রালো ব’টি নিয়ে আসে। দোতলায় উঠে মোবাইল নেয়ার জন্য নুরার মায়ের কক্ষের দরজার লক খোলোর চেষ্টা করার সময় শব্দ পেয়ে নুরার মা জেগে ওঠে।

বাথরুম ও আশপাশে কেউ আছে কি না খোঁজ করেন তিনি। নুরার মা (কাজলের স্ত্রী’) ফাতিমা তাকে দেখে চিনে ফেলে এবং চি’ৎকার দেয়। তখন সে ব’টি দিয়ে কাজলের স্ত্রী’কে মা’থাসহ শ’রী’রের বিভিন্ন স্থানে এ’লোপা’থারি কো’পায়। ফাতেমা অ’জ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।

শব্দ পেয়ে নুরা ঘুম থেকে জেগে উঠলে তাকেও বটি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পারভেজ। পরে নুরার ছোট ভাই ফাদিল জেগে উঠলে তার মা’থায় কো’প মা’রে। ফাদিল পড়ে গেলে প্রথমে তাকে জ’বাই করে। সেসময় হাওয়ারিন ঘুম থেকে জেগে উঠে চি’ৎকার দিলে তাকেও কো’পায় পারভেজ। এরপর সে নুরাকে ধ র্ষণ করে। নুরার মাকে ওড়না দিয়ে হাত পা বেঁধে পরে অর্ধমৃ’ত হাওয়রিনকেও ধ র্ষণ করে। পরে সবাইকে গ’লা কেটে হত্যা করে।

জ’বানব’ন্দিতে মা ও তিন সন্তানকে হ’ত্যার বী’ভৎ’স যে বর্ণনা দিল ঘা’ত’ক পারভেজ সেসময় পারভেজ নুরার মা’র গলা’র একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, কান ফুল এবং হাওয়ারিনের কানের দুল খুলে নেয়। পরে আলমারি খুলে দুটি স্বর্ণের চেইন, একটি আংটি, একটি লাল ছোট ডাইরি, নুরার মায়ের রুম হতে দুটি বড় টাচ মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

পরে সে হাত মুখ ধুয়ে পিছনের গেইট খুলে নিজ বাড়ি চলে যায়। সোমবার (২৭ এপ্রিল) ভোরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার নিজের ঘরে রাখা পায়জামা’র পকেট থেকে ওই স্বর্ণালংকার এবং আলনায় অন্যান্য কাপড়ের ভিতর রাখা একটি র’ক্ত মাখা গেঞ্জি ও দুটি টাচ মোবাইল ফোন উ’দ্ধার করা হয়।  shomoyersongbad

 

আরো পড়ুন

কোয়ারেন্টাইনে থাকা এক অন্ধ নারীকে লাগাতার ধ’র্ষণ

না’টকীয় বললেও কম বলা হয়। করোনা ভাই’রাস মহা’মারিতে যেখানে অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকেই বেরোনো মানা, তারমধ্যেও কিছুতেই কম হচ্ছে না মহি’লাদের যৌ`ন হে’নস্তা’র ঘটনা৷ কোয়ারেন্টা’ইনে থাকা অন্ধ নারীকে ধ’র্ষণ! এরকমই ঘটনা ঘটল ভারতের ভোপালে ৷ ধ’র্ষ’ণ হলেন কোয়ারেন্টাইনে থাকা এক না’রী। তার বয়স ৫৩ বছর। লকডাউনে স্বামী রাজস্থানে আ’টকে যাওয়ায় নিজের ভোপালের বাড়িতে একাই ছিলেন ব্যাঙ্কের ক’র্মী ওই দৃষ্টিহীণ নারী৷ অফিস করায় তাকে দেয়া হয়েছিল কোয়া’রেন্টাইন।

এই অবস্থায় বাড়ির বারান্দা দিয়ে ঘরে ঢুকে আসে ধ’র্ষক ৷ ঢুকেই মহিলার কাছে থেকে ছিনিয়ে নেয় তাঁর ফোন। এরপর তাকে দ’ফায় দ’ফায় ধ’র্ষ’ণ করে।

এরপরেই প্রচণ্ড চিৎকার করতে শুরু করেন ওই মহিলা ৷ তাঁর চিৎকার শুনে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে’ন প্রতিবেশীরা। তবে তার আগেই পালিয়ে যায় ধ’র্ষক।

Leave a Reply

Your email address will not be published.