স্বাস্থ্য বিধি না মানলে পুনরায় ফটিকছড়ির শপিং মল ও মার্কেট বন্ধ করা হবে – এমপি নজিবুল বশর সীরাত মঞ্জুর

ফটিকছড়ি উপজেলায় (কোভিট-১৯) করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করনীয় নির্ধারনের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ মে) ফটিকছড়ি উপজেলা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মিলনায়তনে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্টিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ) এর চেয়ারম্যান, ফটিকছড়ি-২ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় সাংসদ বলেন, ফটিকছড়ি শর্তমেনে শপিং মল মার্কেট খুলতে পারবে, উপজেলার সকল বাজারে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারী নির্দেশনা মেনে ব্যবসা না করলে এবং সাধারন জনগন স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চললে পুনরায় সব শপিং মল, মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সরকার জনগনের কথা চিন্তা করে শর্ত সাপেক্ষে শপিং মল ও মার্কেট সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মানে এই নয় যে যার যেমন ইচ্ছা চলবে। তিনি আরো বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলায় লকডাউন বহাল থাকবে এবং ফটিকছড়ি থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবে না আর কেউ ভিতরে ঢুকতে পারবে না। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, ফটিকছড়িতে সকল ব্যবসায়ীদের দোকানে ঈদ পন্য যা মজুদ আছে তা দিয়েই ব্যবসা করতে হবে। বাহির থেকে কোন জুতা, কাপড় ফটিকছড়িতে নতুন করে আনতে পারবে না। শুধু মাত্র খাদ্য পন্যের নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার ছাড়া আর কোন পন্য আনা যাবে না এবং জরুরী সেবার কাজে নিয়োজিত পরিবহন ছাড়া কোন পরিবহন ফটিকছড়িতে ঢুকতে পারবে না।

বিশেষ করে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, চট্টগ্রাম শহর ও দক্ষিন চট্টগ্রামের সাতকানিয়াসহ ঝুকিপূর্ন এলাকার কোন পরিবহন ও ব্যবসায়ী ফটিকছড়িতে প্রবেশ করতে পারবে না। ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে মাননীয় সাংসদ বলেন, দোকানে কর্মরত স্টাফদের মুখে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস লাগানো, দোকানের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রেখে কাষ্টমারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং দোকানে বেচা কেনার সময় কাষ্টমারদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। বাজারে যাওয়া সাধারণ জনগনও মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় কোন ব্যবসায়ী ও জনগন বেচাকেনা করতে পারবে না। ব্যবসায়ী ও জনগন কেউ আইন অমান্য করলে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী হাট-বাজারে সকল দোকানপাট ও শপিং মল গুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে।

মাননীয় সাংসদ তাঁর বক্তব্যে ফটিকছড়ি উপজেলার সকল মসজিদের খতীব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিঠিকে সরকারী নির্দেশনা মেনে মুসল্লীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে মসজিদে নামাজ আদায় করার অনুরুধ করেন এবং ভয়াবহ মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করার আহবান জানান। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সায়েদুল আরেফিন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হওয়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুসাইন মোঃ আবু তৈয়ব, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জানে আলাম, ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট ছালামত উল্লাহ শাহীন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন নাহার মুক্তা, ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ইসমাইল হোসেন, নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এম, সিরাজ উদ দৌলা ও উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.