ফেসবুকে কেয়ার ইমোজি’ চালু করবেন যেভাবে
করোনার প্রাদুর্ভাবে বিশ্বজুড়ে ল’কডাউনে মানুষজন আগের চেয়ে বেশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নি’র্ভর হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন রিঅ্যাকশন ইমো’জি নিয়ে হাজির হয়েছে ফে’সবুক।
ইমো’জিটির নাম কেয়া’র ইমোজি। প্লে স্টোর থেকে ফেসবুক অ্যাপ আপডেট করে নিলেই কেয়ার ইমোজি উপভোগ করতে পারবেন। ফেইসবুক অ্যাপ ও মেসেঞ্জার অ্যাপে নতুন এই ইমো’জি ব্যবহার করা যাচ্ছে।
ফেসবুক, মেসেঞ্জারে যোগ করার জন্য এরই মধ্যে হা’র্টের আদলে একাধিক ‘কেয়ার’ ইমোজি প্র’স্তুত করা হয়েছে। কঠিন করোনা’কালে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার পরিজনের প্রতি আরও সহজে সহানুভূতি ও স’মর্থন জানানোর লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
বর্তমা’নে ফেসবুক ও মেসে’ঞ্জারে যেসব ইমোজি রয়েছে তাতে লাইক, লাভ, স্যাড, ওয়াও, হাহা ও অ্যাংরি অনুভূতি প্রকাশ করা যায়। এসবের সঙ্গে এবার যোগ হলো ‘কেয়ার’ ইমোজি বাটন। নতুন ইমোজি ব্যব’হার করতে চাইলে প্লে স্টোরে গিয়ে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার অ্যাপ অ্যাপডেট করে নিন। somoyerkonthosor
আর পড়ুন
বমি কিংবা স্বপ্ন’দোষ হলে রোজা ভাঙবে কি?
উত্তর : সিয়ামরত আ’বস্থায় যদি কারো স্বপ্নদোষ হয়, তাহলে তার সিয়াম নষ্ট হবে না, যেহেতু তার অ’নিচ্ছায় এ কাজটি হয়েছে। যে কোনো আমলের মধ্যে যদি ই’চ্ছেকৃত বিষয় না থাকে বা অনিচ্ছাকৃত কোনো আ’মল বান্দার কাছ থেকে হয়ে যায়, এটা যদি সি’য়াম ভঙ্গকা’রী হয়ে থাকে, তাহলে এর মাধ্যমে সিয়াম নষ্ট হয় না।
রমাদান পরিকল্পনা ॥
এ বছর রমা’দানের শুরুতেই, আপনার যাকাত আদায়ের পরিক’ল্পনা করে ফেলুন। আপনার যাকা’তবর্ষ পূর্ণ হতে কয়েক মাস বাকী থাকলেও, সম্ভব হলে এ রমা’দানেই যাকাত আদায় করে দিন। যাকাত অগ্রিম আদায় করা যায়। তাই, করো’না পরিস্থিতিতে অ’ভুক্ত ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁ’ড়াতে, আপনার যাকাতের অর্থ পৌঁছে দিন তাদের হাতে। কাজ’কর্ম সব বন্ধ থাকায়, খাদ্যাভাবে কঠিন সময় পার করছে শ্রমজীবি স্বল্প আয়ের এই মানুষগুলো। এমন সংকটাপন্ন মূহুর্তে এর চেয়ে ভালো কোন সৎক’র্ম আর হতে পারে না। পাশাপাশি, বিগত বছরের অ’পরিশোধিত যাকাত থাকলে সেটাও এই রমাদানে আ’দায়ের পরিকল্পনা করুন। আ’ল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করছেন- “এবং আল্লা’হর সন্তুষ্টি লাভের আশায়, পবিত্র অন্ত’রে যে যাকাত তোমরা দিয়ে থাকো, তা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়”। (আল-রুম: ৩৯)
কুরআনুল কারীম কে’ন্দ্রীক রমাদানে বিশেষ প্ল্যান করুন। খতম উঠা’নোর জন্য উঠেপড়ে না লেগে, বিশুদ্ধ তিলাওয়াত নিশ্চিত করুন এবং তাদাব্বুর তথা বুঝে বুঝে এবং অনুধাবন করে, কুরানিক ম্যা’সেজ গুলো হৃদ’য়ঙ্গম করার চেষ্টা করুন। তাড়াহুড়ো করে অনেকগুলো খতমের চেয়ে বুঝে পড়া ও তিলাওয়াতের গুণগত মান নিশ্চিত করা বেশী জ’রুরী। রমাদান আসার আগেই কুরআনের বিশেষ কিছু অংশ বা কয়েকটি সুরা মুখ’স্ত করার পরিকল্পনা করুন। পরিবারের সবাই মিলে মুখস্তকৃত অংশগুলো একে অপরকে শুনাতে পারেন। কোয়ারেনটা’ইনকে কুরআন টাইম বানান। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করছেন- “এরপরও কি ওরা কোরআন নিয়ে গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হয়ে তা অ’ন্তরে ধারণ করবে না? নাকি ওদের মনের দরজায় তালা ঝু’লিয়ে দেয়া হয়েছে?” (মুহাম্মাদ: ২৪)
যেহেতু লক’ডাউন চলছে, সবাইকে বাসায় থাকতে হচ্ছে, হাতে এখন প্রচুর সময়। সময়গুলো প্রোডা’ক্টিভ কাজে বিনিয়োগ করুন। বাসায় ইসলামি হালাক্বার আয়োজন করতে পারেন, যেখানে পরিবারের সদস্যরা সবাই মিলে কুরআনের সরল বংঙ্গানুবাদ, মর্মার্থ ও সং’ক্ষিপ্ত তাফসির কিংবা রিয়াদুস সলিহিন এর মত যে কোন হাদীস গন্থের উপর বিষয় ভিত্তিক সাম’স্টিক পাঠের ব্যবস্থা থাকবে। বিভিন্ন ইসলামিক স্কলারদের লেক’চারগুলো ইউটিউব থেকে শুনুন, তাদের লাইভ প্রোগ্রামগুলো’তে জয়েন করুন এবং এগুলো স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। নলেজ শেয়ারিং অনেক বড় সাদাকাহ। রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন- “আমার পক্ষ হতে একটি বাণীও যদি তোমা’র জানা থাকে, তবে তা অন্যে’র কাছে পৌঁছে দাও”। (বুখারী)
তা’রাবির সালাতের ক্ষেত্রে, রাকাত বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। ধীরেসুস্থে, একাগ্রচিত্তে এবং তাদিলুল আরকান মে’নটেইন করে সালাত আদায় করুন। বিশ রাকাত পড়তে পারাটাই উত্তম। আবার, রাসূল (সা:) এর আট রাকাতের হাদিসের বর্ননাও স্বত:সিদ্ধ। তাই, কোয়ান্টিটি নিয়ে বিতর্ক না করে, কোয়া’লিটি সালাতের দিকে মনযোগী হোন। ইসলামি শারিয়ায় যে ব্যাপারগুলোতে প্রশস্ততা রয়েছে সেগুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচি’ত নয়। তাছাড়া, কুরআনে সুন্দর আম’লের কথা বলা হয়েছে, বেশী আমলের কথা নয়। তাই, সত:স্ফূর্ত ও প্রানবন্তভাবে রাতের সালাত দুই রাকাত দুই রাকাত করে যত বেশী আদায় করা যায় ততোই সাওয়াব। নিষ্প্রাণ সালাত আল্লাহ তায়ালার কাছে মূল্যহীন, যদিও তা সং’খ্যায় বেশী। রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন- “তোমাদের সাধ্যে যতটুকু কুলায় ততটুকুই ইবাদত কর। আল্লাহর শপথ, নিশ্চই আল্লাহ কখনো ক্লান্ত হবেন না বরং তোমরাই ক্লান্ত হয়ে পড়বে”। (মুসলিম)
সারা বছর হয়তো অনেকেরই তাহাজ্জুদ প’ড়ার সুযোগ হয়ে উঠেনা। এ মাসে এই বি’শেষ সুযোগটি কাজে লাগানো যেতে পারে।
সাহুর খাওয়ার জন্য তো আমাদে’রকে উঠতেই হবে। তাই, প্রতিরাতে সাহুর খাওয়ার আগে অ’থবা পরে, দু্ চার রাকাত তাহাজ্জুদ আদায় করার পরিক’ল্পনা করুন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- “আর রাত্রির কি’ছু অংশ তাহাজ্জুদে কুরআন পাঠ সহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্যে অতিরিক্ত। অচিরেই আপ’নার পালনকর্তা আপনাকে এক প্রশংসনীয় মাকামে অধিষ্ঠিত করবেন”। (বনি ইসরাইল: ৭৯)
পরিমিত ইফতার ও সাহুর গ্রহনের পরি’কল্পনা করুন। মাত্রাতিরিক্ত ইফ’তার ও সাহুর গ্রহনের ফলে অ’লসতা তৈরি হবে এবং সারাদিন কুরআন তিলাওয়াতে ও রাতে কিয়ামুল্লাইলে আপনি মজা পাবেন না।
তাই, রমাদানে হে’লথি ডায়েট মেনটেইন করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার প্রোডা’ক্টিভিটি অনেক গুণে বেড়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন- “ পাকস্থলীর এক তৃতীয়াংশ খাবারের জন্য, এক তৃতীয়াংশ পানির জন্য এবং এক তৃতীয়াংশ থা’কবে শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য” (তিরমিযি)
ক্বদর বা ভাগ্য’রজনী তালাশের জন্য, রমাদানের শুরু থেকেই সিরি’য়াসলি পরিকল্পনা নিয়ে রাখুন। প্রয়োজনে ক্যালে’ন্ডারে তারিখগুলো মার্ক করে রাখুন যাতে করে, কোন ভাবেই এ রাতের বারাকাহ মিস না হয়ে যায়।
রমা’দানের শেষ দশকের বেজোড় রাত’গুলোর যে কোন একটি রাত হল- সেই বহু প্রতি’ক্ষীত ক্বদরের রাত। যে রাতে পবিত্র কুরআ’নুল কারীম নাযিল হয়েছে, যে রাত হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, যে বরক’তময় রাতে আরশের মালিকের রাজকীয় ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিজ্ঞোচিত ফায়সালা দেয়া হয়, আর সে রাতে ফজর উদিত হওয়া অবদি গোটা দুনিয়ায় শান্তির সমীরণ বহে। সকল ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে, ইবাদতে মশগুল থাকুন এ মহিমান্বিত রজনীতে। রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন- “যে ব্যক্তি ক্বদরের রাতের মাহাত্ম অর্জন থে’কে বঞ্চিত হল, সে আস’লেই দুর্ভাগা”। (নাসাঈ)
nayadigantajobs