ভারতের গুজরাটে আইন করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো আযান!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতে সকল শ্রেণির ধর্মস্থানে এবার লাউডস্পিকার ব্যবহার নিষি’দ্ধ করে দিল গুজরাত সরকার।

সোমবার এ ব্যাপারে এক সার্কুলা জারি করেছে বিজয় রূপাণি সরকার। নরেন্দ্র মোদির খাসতালুক গুজরাটে জারি করা এই সার্কুলারে বলা হয়েছে, আগামী ৩ মে পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে না।

ফেইসবুক থেকে ইনকাম করুন !

কোনও ধরনের জমায়েতও করা যাবে না। এ নির্দেশ কঠোরভাবে পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বরা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার পুনরায় কোনও নির্দেশ জারি না করা পর্যন্ত এই নিষি’দ্ধ জারি থাকবে। উল্লেখ্য, রযমান মাস শুরুর মুখে গুজরাত সরেকারের এই সার্কুলার নিসন্দেহে মুসলিমদের কাছে একটা বড় আঘা’ত।

লকডাউনের মধ্যে রোযা চলায় মুসলিমরা মসজিদে যেতে পারছে না।বাড়িতে বসে তাদেরকে সন্ধ্যায় ইফতার কিংবা ভোরে সেহরি করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মসজিদে জামাতে নামায না হলেও মসজিদের লাউস্পিকারে ইফতার ও সেহরির সময় ঘোষণা করায় মুসলিমদের রোযা ভা’ঙতে ও সেহরি করতে সুবিদা হত।

ফেইসবুক থেকে ইনকাম করুন !

কিন্তু মসজিদে লাউডস্পিকার বন্ধ হওয়ায় তারাই সবচেয়ে মুশকিলে পড়বে। যদিও গুজরাত সরকারের পক্ষ থেকে সার্কুলারে বলা হয়েছ্, সমস্ত ধরনের ধর্মীয় কার্যক্রম, পূজা, আরাধনা ও এই ধরনের কার্যক্রমে মানুষের জমায়েত নিষি’দ্ধ। আর এসব ক্ষেত্রে লাউডস্পিকার বা অন্য কোনও শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষি’দ্ধ। এর ফলে মসজিদে আযান ব’ন্ধ করে দেওয়া কোনও উপায় থাকছে না। এর ফলে, রমযান মাস জুড়ে মসজিদ থেকে গুজরাতের মুসলিমরা আর আযন শুনতে পারবে না।

ফেইসবুক থেকে ইনকাম করুন !

newsbanglabd.net

আর পড়ুন

১২ জনের বেশি মুসল্লি নিয়ে নামাজ পড়ায় ইমামের উপর হামলা

গতকাল (বুধবার) দিবাগত রাতে (২৯/০৪/২০২০) কিশোরগঞ্জ জেলা সদর উপজেলার যশোদল বড়ইতলা গ্রামের শহীদ নগর জামে মসজিদের ইমাম ১২ জনের অধিক মুসল্লি নিয়ে তারাবিহের নামাজ পড়াতে অপারগতা প্রকাশ করায় ইমাম সহ ৫ জন সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার।

কিভাবে বিদায় নিবে আমাদের দেশ থেকে করোনা নামক মহামারীর আজাব?
আমাদের কপাল ভাল‌। আল্লাহ তাআলা দয়া করে আমাদেরকে সামান্য আজাবের সম্মুখীন করেছেন আমরা তো এর চেয়ে আরো ভয়াবহ আজাব এর উপযুক্ত।

ফেইসবুক থেকে ইনকাম করুন !

একদিকে ১২ জনের অধিক মুসল্লি নিয়ে তারাবিহের নামাজ পড়লে প্রশাসনের কাছে জবাবদিহিতা মূলক আইনের সম্মুখীন হতে হয়।

অপরদিকে ১২ জনের অধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ না পরার কারনে নিরীহ ইমাম-মুয়াজ্জিনগণ সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হতে হয়। মনে রাখবেন যে দেশে নিরীহ মানুষদের ওপর জুলুম অত্যাচার করা হয় সে দেশের মানুষদের সুখ-শান্তি এর চেয়ে বেশি আশা করা যায় না।

দেশের জনপ্রতিনিধিদেরকে বলবো
আপনারা হয়তো মসজিদ উন্মুক্ত করুন না হয় এই সমস্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
অন্যথায় মনে রাখবেন এর চেয়ে আর ভয়াবহ বিপদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

ফেইসবুক থেকে ইনকাম করুন !

Collected :- Facebook

Leave a Reply

Your email address will not be published.